রবিন হাসনাত রানা
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
করোনার সংক্রমণ রোধে আগামী বুধবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য সর্বাত্মক লকডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। জরুরি সেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধ রাখার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন একাধিক মন্ত্রী। সেটি হলে শিল্পকারখানাও বন্ধ থাকবে। এমন ইঙ্গিত পেয়ে নতুন করে ব্যবসা হারানোর দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তৈরি পোশাকশিল্প মালিকেরা।
পোশাক রপ্তানিকারকেরা বলেছেন, এ সময় শরৎ ও শীত মৌসুমের পোশাকের ক্রয়াদেশ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিদেশি ক্রেতারা। এখন লকডাউনের কারণে কারখানা বন্ধ হলে সেই ক্রয়াদেশ পাওয়া যাবে না। ক্রয়াদেশ চলে যাবে প্রতিযোগী দেশগুলোয়। আবার চলমান ক্রয়াদেশের পণ্য সরবরাহ করার জন্যও বাড়তি সময় দেবেন না ক্রেতারা। ফলে ক্রয়াদেশ বাতিল, মূল্যছাড় বা আকাশপথে পণ্য পাঠানোর মতো নির্দেশনা দেবেন তাঁরা। সেটি হলে নতুন করে আবার পোশাক খাত কঠিন বিপদে পড়বে। তা ছাড়া কারখানা বন্ধ হলেই শ্রমিকেরা গ্রামের বাড়ির দিকে ছুটবেন। তাতে করোনা সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।
এদিকে লকডাউনে কারখানা বন্ধ রাখার পরিকল্পনা জানার পর থেকেই সরকারের সঙ্গে দেনদরবার শুরু করেছে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর নেতারা। আজ রোববার বিকেলে বিষয়টি নিয়ে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবের সঙ্গে তাঁদের একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে মন্তব্য করেন বিকেএমইএর প্রথম সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
করোনার প্রথম ধাক্কায় গত বছরের এ সময়ে ৩১৮ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানির ক্রয়াদেশ প্রাথমিকভাবে বাতিল ও স্থগিত হয়েছিল। পরে নানামুখী চাপের কারণে অধিকাংশ ক্রেতাই পণ্য নিতে সম্মত হন। তবে অর্থ পরিশোধে ছয় মাসের বেশি সময় চান। চলতি বছর পরিস্থিতি পুরোপুরি ভিন্ন। ইতিমধ্যে অনেক ক্রেতাই পোশাকশিল্প মালিকদের আগেভাগেই বলছেন, লকডাউনের কারণে সময়মতো পণ্য রপ্তানি না হলে তাঁরা দায়দায়িত্ব নেবেন না।
Leave a Reply