বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠির নলছিটিতে সোহরাব মাঝি নামের ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধের নামে মিথ্যা বিদ্যুৎ চুরির সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করায় দুই সাংবাদিকসহ তিনজনের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পিটিশন দায়ের হয়েছে। বরিশাল সাইবার ট্রাইবুনালের বিজ্ঞ বিচারক আবেদনটি আমলে নিয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বরিশাল পিআইবিকে নির্দেশ দিয়েছেন। বরিশাল সাইবার পিটিশন মামলা নম্বর ৬৯/২০২১,তারিখ-১৫ ডিসেম্বর-২১, ধারাঃ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৪/২৫(১)(ক)/২৬(১)২৯(১)/৩৫(১)।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পিটিশন মামলার বাদী নলছিটি উপজেলার উত্তর জুরকাঠী গ্রামের মৃত্যু মোঃ ছোটন মাঝির পুত্র মোঃ সোহরাব মাঝি। এতে বিবাদী করা হয়েছে বরিশাল থেকে প্রকাশিত দৈনিক দখিনের কন্ঠ পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক খান মাইনুদ্দীন, দৈনিক দখিনের কন্ঠ পত্রিকার সম্পাদক ও তাওহিদুল ইসলাম জামাল এবং খান মাইনুদ্দীনের ছোট ভাই মোঃ গিয়াস উদ্দিন খানকে। বাদী সোহরাব মাঝি মামলায় উল্লেখ করেছেন বিবাদীরা নলছিটির দপদপিয়ায় বিদ্যুৎ চুরি করে ধরা খেলেন সোহরাব মাঝি” শিরোনাম দিয়ে দৈনিক দক্ষিণের কন্ঠ পত্রিকায় সংবাদ ও নিবন্ধনবিহীন অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশ করে। এরপরে সেই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন নিউজ ফেসবুক আইডি khan mayinuddin ও “গিয়াস উদ্দিন খান” প্রোফাইল থেকে শেয়ার করে সমাজে তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে। বাস্তবে দপদপিয়ায় বিদ্যুৎ চুরির সাথে সোহরাব মাঝি কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। মিথ্যা অপপ্রচার করায় বাদী সমাজের কাছে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছেন উল্লেখ করে বিবাদীদের বিরুদ্ধে বিচার চেয়েছেন। বিদ্যুৎ চুরির ব্যাপারে নলছিটি ওয়েষ্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকোর) আবাসিক প্রকৌশলী ফিরোজ আহম্মেদ জানিয়েছেন, দপদপিয়ায় বিদ্যুৎ চুরির সাথে সোহরাব মাঝির কোন প্রকার সংশ্লিষ্টতা নেই। বাস্তবিক ঘটনা হলো-উত্তর জুরকাঠী এলাকার একটি মসজিদের সম্মুখের বিদ্যুতের খুঁটি থেকে গত ফেব্রুয়ারীতে নান্নু হাওলাদার নামে এক যুবক অবৈধ সংযোগ দিয়ে পানি সেচ করলে তাকে জরিমানা করা হয়। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে সোহরাব মাঝির নাম উল্লেখ করে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে। আবাসিক প্রকৌশলী ফিরোজ আহম্মেদ আরও জানিয়েছেন,গত ২০ নভেম্বর নলছিটি উপজেলার উত্তর জুরকাঠী গ্রামের আঃ আজিজ খানের পুত্র সাংবাদিক খান মাইনুদ্দীন তার বাড়ির বিদ্যুতের মিটার থেকে বিদ্যুৎ চুরি করে মুরগীর খামারে ব্যবহারের খবরে ওজোপাডিকোর স্টাফরা সরেজমিনে গিয়ে হাতে-নাতে চুরির বিষয়টি ধরে ফেলে। এরপর খান মাইনুদ্দীনের ছোট ভাই গত ২৩ নভেম্বর বিদ্যুৎ চুরির ঘটনা স্বীকার পেয়ে আবেদন করেন। এতে বিদ্যুৎ আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।
Leave a Reply