জাহাঙ্গীর হোসাইন বাবলুঃ
গত ১১মে বুধবার বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউয়নস্থ কাঠালিয়া গ্রামের মোঃ হানিফ হাওলাদারের বড় ছেলে মোঃ উজ্জল হাওলাদার’র স্ত্রী লাবন্য আক্তার’র (২১) হাতে নিজ শ্বাশুড়ি মিসেস নাজনীন আক্তার (৫০) খুনের অভিযোগ উঠেছে।
খুনের তিন ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্ত খুনি লাবন্য আক্তারকে গ্রেফতার করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
খুনের ঘটনা যতটা জানা যায় কাঁঠালিয়া গ্ৰামের মৃত মোঃ হানিফ হাওলাদার’র দুইপুত্র উজ্জল হাওলাদার ও রাজু হাওলাদার উভয়েই জীবন জীবিকার জন্যে ঢাকায় অবস্থান করেন। পরিবারে শুধুমাত্র উজ্জলের স্ত্রী লাবন্য আক্তার তার মা মিসেস নাজনীন একত্রে গ্ৰামে বসবাস করে। দুই ভাই ঈদের ছুটি শেষে ১০মে মঙ্গলবার ঢাকায় ফিরে যায়।লাবণ্যর বাবার বাড়ি ঝালাঠী নলছিটি থানার কুশাঙ্গল গ্রামে ঘটনার দিন, সারাদিন পর্যন্ত লাবন্য বাবার বাড়ি অবস্থান করছিলেন। কিন্তু প্রতিবেশী ক’জন জানান এদের মধ্যে সাহাদাত গাজী ও লোটাস হাওলাদার ঘটনার দিন সন্ধা ৭টার সময় লাবন্য বাপের বাড়ি কুশাঙ্গল থেকে স্বামীর বাড়ি কাঠালিয়া আসতে দেখে।
নিহতের ভাসুর মোঃ কালাম হাওলাদার (৬০) জানান, বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় নাগাদ ভাতিজা উজ্জ্বল ঢাকা থেকে ফোনকল দিয়ে জানায় তার মা ফোন রিসিভ করছে না। ঘরে গিয়ে তার মায়ের খোঁজ নিতে বলেন। বৃদ্ধ কালাম ঘরের সম্মুখ দরজা বন্ধ দেখে পিছনের খোলা দরজা দিয়ে ভিতরে ঢুকেই রুমে চৌকির পাশে মশারিতে প্যাচানো রক্তাক্ত অবস্থায় নাজনীনের মৃতদেহ দেখতে পান। লোকজন ডাকেন ও পরে তিনি থানা পুলিশ খবর দেন।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, শ্বাশুরী পুত্রবধুর সম্পর্কের অস্থিতিশীল অবস্থা চলছিলো দীর্ঘদিন ধরে। হয়ত সে জের ধরেই পুত্রবধূ লাবন্য তার শ্বাশুড়িকে হত্যা করেছে বলে প্রায় প্রত্যেকেরই ধারনা।
এর পূর্বেও ইউপি চেয়ারম্যান বশির উদ্দিন সিকদার ও গন্যমান্যজনের মাধ্যমে, নিহত নাজনীনের সাথে তার পুত্রবধূ লাবণ্যর অস্তিতিশীল সম্পর্ক মিটিয়ে দিয়েছিলেন বলে জানা যায়।
হত্যাকান্ডের পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বাকেরগঞ্জ সার্কেল) সুদীপ্ত সরকার ও তার দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ব্যাপারে পুলিশেরও ধারনা লাবন্যই এ হত্যাকান্ড সংঘটিত করেছে।
Leave a Reply